কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি
জাতীয় আদিবাসী পরিষদ খুলনা জেলা কমিটির আয়োজনে উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নে এসডিএফ অফিসে মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় বিরসা মুন্ডা ১৪৭ তম জন্মদিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় আদিবাসী পরিষদ খুলনা জেলা কমিটির সভাপতি তপন কুমার সরদারের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক মুকুল মুন্ডা’র সঞ্চলনায় বক্তব্য প্রদান করেন জাতীয় আদিবাসী পরিষদের খুলনা জেলা কমিটি সাধারণ সম্পাদক নিরাপদ মুন্ডা,কোষাধ্যক্ষ শ্যামসুন্দর সরদার,দপ্তর সম্পাদক সাধন মুন্ডা,সদস্য উজ্জল মুন্ডা,দয়াল মুন্ডা,আদিবাসী তরুন নেতা সনজিৎ মুন্ডা, আদিবাসী ছাত্র পরিষদের খুলনা জেলা কমিটির সভাপতি সুব্রত মুন্ডা,সদস্য রবেন মুন্ডা প্রমূখ।
সভায় সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যে নিরাপদ মুন্ডা বলেন, “বিরসা মুন্ডা আমাদের সংগ্রাম ও আদর্শের মূর্তপ্রতীক। তাঁর জীবনাদর্শ চর্চা বাংলাদেশে খুব একটা চোখে পড়ে না। আমাদের মুন্ডা কমিউনিটিতে তাঁকে ঘিরে নানান আয়োজন করা দরকার, তাহলে পরবর্তী প্রজন্ম তাঁকে জানতে পারবে । বৃটিশ বিরোধী সংগ্রামে বিরসা মুন্ডার বীরত্ব ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে আমাদের কাজ করতে হবে”
সভাপতি তপন মুন্ডা বলেন , বৃটিশদের বিরুদ্ধে বিরসা মুন্ডার গৌরবগাঁথা ইতহাস আমাদের তুলে ধরা দরকার। তাঁর এই সংগ্রাম আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার”
উল্লেখ্য, মুন্ডা বিদ্রোহের অন্যতম নেতা বিরসা মুন্ডার জন্মদিন আজ। ১৮৭৫ সালের ১৫ ই নভেম্বর বিহারের উলিহাতু গ্রামে এই নেতার জন্ম হয়। তার হাত ধরেই পরাধীন ভারতের আদিবাসী জাগরণ শুরু হয়। এই মহান নেতার জন্মদিন পালনে আজ সারা বাংলায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
পরাধীন ভারতে ইংরেজরা আদিবাসীদের ওপর নির্মম অত্যাচার শুরু করে। সেই অত্যাচারের বিরোধিতা করতে বিরসা মুন্ডার নেতৃত্বে শুরু হয় মুন্ডা বিদ্রোহ। সেই সময় বিরসা বাহিনীর আক্রমণে শতাধিক ইংরেজ সেনা মারা যায়। আক্রমণের জবাবে ইংরেজ সরকার নির্বিচারে বহু মানুষকে মেরে ফেলেন এবং শুরু হয় বিরসার খোঁজ। পরবর্তীকালে ইংরেজ সরকারের টাকার বিনিময়ে বিরসাকে ধরিয়ে দেওয়া হয়। এরপরই শুরু হয় বিচার পর্ব। অবশেষে ১৯০০ সালের ৯ জুন বিষ প্রয়োগের ফলে রক্ত বমি করে এই মহান নেতা মারা যান।
Leave a Reply